শুক্রবার ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ - ১৪:৩৪
উপমহাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা: অতীত, বর্তমান ও সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ ও মুক্তির উপায় !!

ভারতীয় উপমহাদেশ—বর্তমান ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান—বিশ্ব ইতিহাসের অন্যতম জটিল রাজনৈতিক পরিবেশের অঞ্চল। এখানে বহু সংস্কৃতি, বহু-ধর্ম, বহু-ভাষার মানুষের এক দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে, যার ওপর ঔপনিবেশিক শাসন, স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং ১৯৪৭ সালের বিভাজন গভীর ছাপ ফেলেছে।

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী,

মুস্তাক আহমদ 
(সত্যের পথে)

ভূমিকাঃ

ভারতীয় উপমহাদেশ—বর্তমান ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান—বিশ্ব ইতিহাসের অন্যতম জটিল রাজনৈতিক পরিবেশের অঞ্চল। এখানে বহু সংস্কৃতি, বহু-ধর্ম, বহু-ভাষার মানুষের এক দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে, যার ওপর ঔপনিবেশিক শাসন, স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং ১৯৪৭ সালের বিভাজন গভীর ছাপ ফেলেছে।

আজকের রাজনৈতিক অস্থিরতা শুধু স্থানের বা রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, ইতিহাসের দীর্ঘকালীন প্রভাব ও বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক গতি-প্রকৃতির মধ্যে দাঁড়িয়ে বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন। আসুন কিছুটা আলোচনা করা যাক৷

প্রশ্ন হলো: আমরা কি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের দিকে এগোচ্ছি?
- এই প্রশ্নের উত্তরের জন্য এই প্রবন্ধে ইতিহাস, প্রেক্ষাপট, রাজনৈতিক সম্পর্ক, আধিপত্য-নৈতিকতা, এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাব্যতা বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন৷

১। ঔপনিবেশিক শাসন ও মানসিকতার উত্তরাধিকার
— ঐতিহাসিকভাবে, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন উপমহাদেশে ‘বিভাজনীয় নীতি’ (Divide and Rule) ব্যবহার করেছিল। বিভিন্ন ধর্ম, ভাষা ও সামাজিক গোষ্ঠীর মধ্যে ভেদাভেদ সৃষ্টি করে শাসনক্ষমতা অটুট রাখাই ছিল তাদের নীতি। এর ফলে: তারা ধর্মভিত্তিক বিভাজনকে শক্তিশালী করে রেখে গিয়েছিল৷  হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে পরস্পর-অবিশ্বাস ও প্রতিযোগিতার বীজ বপন করে ইংরেজরা৷ জাতিগত ও ধর্মীয় আলাদা পরিচয় ভিত্তিক রাজনীতি ও রাজনৈতিক দাবি প্রতিষ্টা করা হয়৷ আর এরফলটি আজ মারত্মক ক্ষতিকর আকার ধারন করেছে৷
   সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে ঔপনিবেশিক শাসন সিস্টেম নিজেই সমস্যার মূল নই বরং তা উপমহাদেশের অন্যান্য সামাজিক-রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে মিলে দীর্ঘমেয়াদে ধারণা'গত জমিন তৈরি করেছে। ঔপনিবেশিক শাসন থেকে বের হওয়ার পরও সেই মানসিকতা এক দিনের মধ্যে মুছা যায়নি—এটি সামাজিক অভ্যাস, রাজনৈতিক ভাষ্য এবং শক্তি অর্জনের কৌশল হিসেবে বেড়ে উঠেছে ও আজও উঠে চলেছে৷ আর এটিই  মানসিক “বিকলতা”৷  ইতিহাসের এক ধারাবাহিক প্রভাব যেটি সমগ্র উপমহাদেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক ধারণা ও সামরিক মনোভাবের উৎপত্তিতে ভূমিকা রাখছে৷ 

২। ১৯৪৭: বিভাজন ও পরিণতিঃ 
— ১৯৪৭ সালে ভারত থেকে ব্রিটিশদের প্রস্থান ছিলনা, বরং তারা যে বিভাজন করে গেছে, এরফলে তাদের অদৃশ্য রাজদন্ড উপমহাদেশের জন্য 'নাচের পুতুলের' মত হয়ে আছে৷  যার ফলে: ভারত এবং পাকিস্তান (পরে বাংলাদেশ) আলাদা নোংরা ধর্ম ভিত্তিক রাষ্ট্রে পরিণত হয়ে গেছে, যেটা অমানবিক ও উপমহাদেশের জন্য ক্ষতি'র কারন৷ লক্ষ লক্ষ মানুষ আসা-যাওয়া করতে বাধ্য হয় এবং সেই সময়ে প্রচুর সহিংসতা ঘটে।
ধর্মীয় রাজনৈতিক চিৎকার এবং নিরাপত্তা-চিন্তা অধিকতর জোরালো হয়।
   এই ঘটনা উপমহাদেশের রাজনৈতিক মানচিত্র ও মনস্তত্ত্ব দুটোই বদলে গেছে। সামরিক নিরাপত্তা, সীমান্ত, সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা—এসব বিষয় রাজনীতির কেন্দ্রে চলে আসে।
৩। পররাষ্ট্রনীতি ও রাজনৈতিক উত্তেজনা
— উপমহাদেশের মধ্যকার সম্পর্ক—বিশেষত ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক—দ্বিপাক্ষিক উত্তেজনায় অভ্যস্ত: কাশ্মীর ইস্যু বহু বছর ধরে বিরোধের কারণ।
সীমান্ত পারিয়ে সংঘর্ষ ও সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ উভয় পক্ষেই বার্তা পাল্টাপাল্টি বাড়িয়েছে।
পারমাণবিক ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও উত্তেজনা অব্যাহত আছে। 
একই সময় বাংলাদেশও বিভিন্ন দিক দিয়ে রাজনৈতিক চাপ এবং পার্শ্ববর্তী দেশগুলির ভূ-রাজনৈতিক বিন্যাসের প্রভাবে প্রভাবিত রয়েছে। আর এরফলে আমাদের জন্য যেন খাঁচায় বন্ধির মত অবস্থা৷
এখানে লক্ষ্যণীয় যে রাজনীতি ও নিরাপত্তা-চিন্তা নির্দিষ্ট ধারণা ও নীতির উপর ভিত্তি করে চলে, যা প্রায়ই রাজনৈতিক দল ও তাদের ন্যারেটিভ দ্বারা চালিত।

৪। “জায়োনিজম” ও অশান্তি—এক সমালোচনামূলক দৃষ্টিকোণঃ
ইংরজে নিজেদের বদল করে আমেরিকা ও “জায়োনিস্ট” বিষয়েল মধ্যে এখন অবস্থান করছে৷ _যা সাধারন জানেই না৷ এটি সাধারণত আমেরিকা ও  ইসরায়েল-সম্পর্কিত রাজনৈতিক ধারণা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। উপমহাদেশের রাজনীতি সরাসরি জায়োনিজমের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে, যার ভিত্তিতে বর্তমানে উপমহাদেশ-সহ গোটা বিশ্ব পরিচালিত হচ্ছে৷ _ এটি'কে এক কথায় বলা যেতে পারে, 'আজ গোটা বিশ্বের আর্থ-রাজনীতি জায়োনীষ্টের হাতে মজবুত ভাবে বাঁধা৷ বহুপক্ষীয় রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক রয়েছে, এটি পরীক্ষিত সত্য ৷ বরং আজকের বাস্তবতা এটাই৷৷ এরফলে বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক দল আন্তর্জাতিক ইস্যুতে বিভিন্ন অবস্থান নিতে পারছে৷ অতএব উপমহাদেশের কেন্দ্রীয় অস্থিরতা মূলত আন্তর্জাতিক মতাদর্শের প্রতিযোগিতা ও জাতীয় নিরাপত্তা-এর কারণে অধিকতর তীব্র আকার ধারন করেছে।
সুতরাং “জায়োনিস্ট শাসিত” এমন একটি দৃষ্টিকোণ প্রাথমিকভাবে প্রমাণ দ্বারা নির্ধারিত, এটি একটি রাজনৈতিক ব্যাখ্যা, যা প্রমাণিত ও স্বীকৃত আন্তর্জাতিক গবেষণায় দেখা যায়৷ 

৫। সম্প্রীতি বনাম সংঘাত: ভবিষ্যতের সম্ভাবনাঃ
— বর্তমানে নানান ঘটনার মধ্য দিয়ে উপমহাদেশের পরিস্থিতি  অসহিষ্ণুতা ও সংঘাতের ঝুঁকি বাড়ছে। আর সেই সংঘাত “রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পথে” হাঁটছে৷ সেটা খুব নির্দিষ্ট প্রমাণের ওপর নির্ভর করে৷

৬। উপমহাদেশের অস্থিরতা থেকে মুক্তির পথ: নবীর আহলে বাইতের আদর্শঃ
— উপমহাদেশের এই দীর্ঘস্থায়ী অস্থিরতা—রাজনৈতিক হিংসা, ধর্মের নামে বিদ্বেষ, ক্ষমতার জন্য রক্তপাত—এর মূল কারণ খুঁজলে দেখা যায়, ধার্মীক চরিত্রের সদস্যরা নৈতিকতার কেন্দ্রবিন্দু হারিয়ে ফেলেছেন। রাষ্ট্র, দল, মতবাদ—সবই আছে; কিন্তু ন্যায়, ইনসাফ ও মানবিকতার নৈতিক মানদণ্ড সম্পুর্ণ অনুপস্থিত। এই শূন্যতাই অস্থিরতার প্রকৃত জন্মদাতা উমাইয়া ও আব্বাসী খেলাফত, যারা ইসলামের পোষাক পরেই মুসলমানদের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে৷ 
— এই প্রেক্ষাপটে পবিত্র কোরআন, নবী(সঃ)  আমাদের সামনে এক সুস্পষ্ট মজবুত পথ নির্দেশ করে গেছেন—সেটা হলো, নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর আহলে বাইতের আদর্শ।
— আহলে বাইত কোনো রাজনৈতিক গোষ্ঠী নয়, কোনো সাম্প্রদায়িক পরিচয়ও নয়; বরং তারা  ইসলামের নৈতিক মেরুদণ্ড, যাদের জীবন ও অবস্থান ক্ষমতার নয়, বরং সত্য ও ইনসাফের পক্ষে অবিচল থাকার ইতিহাস, -যাকে এক কথায় বলা যায়, 'জীবন্ত কোরআন৷'

৮। আহলে বাইত: দলবাজী বা ক্ষমতার বিপরীতে নৈতিকতার অবস্থানঃ
ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়—
(ক) হযরত আলী (আ.) রাষ্ট্রক্ষমতায় থেকেও শত্রুর প্রতি ন্যায়বিচার থেকে একচুল সরেননি। আর এজন্য তাঁকে মসজিদে ফজরের নামাজ অবস্থায় শহীদ করে উমাইয়া প্রভাবিত অনৈতিক মুসলমানরা৷ 
(খ) হযরত ফাতিমা (আ.) অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে গিয়ে ঘরের চার দেয়ালকেও সাক্ষী বানিয়েছেন, - এজন্য নবীকন্যা(সঃ) ঐ অনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করে দিয়ে দৃষ্টান্তমূলক সত্যের পথ রচনা করে গেছেন, এটি বোখারী নামক গ্রন্থে উল্লেখ আছে৷ 
(গ) ইমাম হাসান (আ.) ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছেন, কিন্তু মুসলিম উম্মাহর রক্তপাতকে বৈধতা দেননি, ঐজন্য উমাইয়া অনৈতিক ক্ষমতা বিষ পাঠিয়ে তাঁকে হত্যা করিয়েছে, তাঁর লাশে তীর নিক্ষেপ করিয়েছে৷
(ঘ) ইমাম হুসাইন (আ.) কারবালায় ন্যায় ও নৈতিকতার মানদন্ডে দাঁড়িয়ে প্রমাণ করেছেন—জুলুমের সঙ্গে আপস নয়, যত মূল্যই দিতে হোক। এজন্য ৭২ জনের হত্যার রক্তত্ব লাশ আমরা দেখেছি৷ এসব করেছে উমাইয়া রাজ ক্ষমতা৷ 
— মানে রাখতে হবে এগুলো কেবল ধর্মীয় আবেগের গল্প নয়; এগুলো রাষ্ট্রনীতি, সমাজনীতি ও মানবিক রাজনীতির চিরন্তন মানদণ্ড। যা নবীর আহলে বাইত দেখিয়ে গেছেন৷ 

আজকের উপমহাদেশে যেখানে— ধর্ম ব্যবহৃত হচ্ছে ভোটব্যাংক হিসেবে, ইতিহাসকে বিকৃত করে ঘৃণা উৎপাদন করা হচ্ছে, নিরাপত্তার নামে মানবাধিকার পদদলিত হচ্ছে— সেখানে আহলে বাইতের আদর্শ একমাত্র এমন নৈতিক দর্শন, যা ক্ষমতার রাজনীতিকে প্রশ্ন করে এবং মানুষকে মানুষ হিসেবে বাঁচার অধিকার ফিরিয়ে দেয়।

৯। আহলে বাইতের আদর্শ বনাম উপনিবেশিক ও আধিপত্যবাদী মানসিকতাঃ 
ব্রিটিশ উপনিবেশবাদ আমাদের শিখিয়ে গেছে—  “শাসন করো বিভাজনের মাধ্যমে।” আর পরবর্তী শাসকগোষ্ঠী শিখেছে—  “ক্ষমতা টিকিয়ে রাখো ভয় ও শত্রু তৈরির মাধ্যমে।” কিন্তু নবী (সঃ)-এর আহলে বাইতের শিক্ষা ঠিক তার বিপরীত— 
(এক) শাসনের ভিত্তি হবে ইনসাফ,
(দুই) রাষ্ট্রের শক্তি হবে নৈতিকতা, আর
(তিন)  সমাজের ঐক্য হবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সম্মিলিত অবস্থান।
—াএই আদর্শ গ্রহণ করলে— হিন্দু-মুসলিম, শিয়া-সুন্নী, ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশ—এই কৃত্রিম শত্রুতা টিকতে পারে না। স্বমূলে উৎপাটিত হয়ে শান্তির বাতারণ সৃষ্টি হবে, যেটা মুসলমানরা বলেনঃ "ইসলাম নামে শান্তি"৷  ইসলামের পোষাক পরে ১৪০০ বছর ধরে যে মুসলমানরা ইসলামের 'শান্তি'র আলো প্রজ্বলিত করতে পারেন নি, সেই আলো নবীর আহলে বাইতের শিক্ষা বা তাঁদের দর্শনের মধ্যে অবস্থান করছে৷ কারণ আহলে বাইতের দর্শনে জুলুম বিরুদ্ধে সমবেত হও, কোনো জাতি বা ধর্মের বিভাজন নয়। বরং সবাই হাতে হাত রেখে জুলুমের বিরূদ্ধে মজবুত অবস্থান করো, যেটা কোরআন বলছে 'সীসা ঢালা প্রাচীরের মত হও'

১০। উপমহাদেশের জন্য আহলে বাইতের দর্শনের প্রাসঙ্গিকতা
— আজ উপমহাদেশে যে সংকট—
(১) রাষ্ট্র বনাম নাগরিক,
(২) সংখ্যাগরিষ্ঠ বনাম সংখ্যালঘু,
(৩) ধর্ম বনাম মানবতা—
—— এগুলো সমাধানের জন্য শুধু সংবিধান বা কূটনীতি যথেষ্ট নয়। দরকার নৈতিক পুনর্জাগরণ, যে নেতিকতা এসব মুসলমানদের মধ্যে নেই, বরং ঐ নৈতিকতা নবীর আহলে বাইতের মধ্যেই আছে৷
আহলে বাইতের আদর্শ আমাদের শেখায়—
(০১) শক্তিশালী হওয়া মানে অত্যাচার করা নয়,
(০২) ধর্ম মানে অন্য ধর্মকে দমন করা নয়, আর 
(০৩) দেশপ্রেম মানে অন্য দেশের মানুষের রক্ত চাওয়া নয়।
— এই আদর্শ যদি শিক্ষা ব্যবস্থায়, রাজনীতির চর্চা ও সামাজিক চর্চার কেন্দ্রে আসে, তবে উপমহাদেশ যুদ্ধের পথে নয়—সহাবস্থানের পথে হাঁটবেই৷ 

১১। উপসংহার: যুদ্ধ নয়, কারবালার শিক্ষা
প্রশ্ন ছিল—
“আমরা কি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের দিকে হাঁটছি?”
— উত্তর নির্ভর করছে একটি বিষয়ের উপর—
আমরা কোন আদর্শকে বেছে নিচ্ছি? যদি উমাইয়া ও আব্বাসী অর্থাৎাইয়াজিদি ক্ষমতার দর্শন বেছে নিই—তবে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী। আর যদি হুসাইনী ন্যায়বোধকে আঁকড়ে ধরি—তবে ত্যাগ থাকবে, কিন্তু অমানবিকতা থাকবে না।
— এই অস্থিরতা থেকে মুক্তির একমাত্র পথ কোনো সামরিক জোট, কোনো পরাশক্তির আশীর্বাদ নয়—
একমাত্র পথ নবীর আহলে বাইতের আদর্শকে আঁকড়ে ধরা। কারণ—  আহলে বাইত মানুষকে দল গড়তে শেখায় না, আহলে বাইত মানুষকে শাসন করতে শেখায় না, বরং আহলে বাইত মানুষকে প্রকৃত মানবিক মানুষ হতে শেখায়।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha